বগুড়ার গাবতলীতে ইউএনও পরিচয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে জরিনা বেগম (২৮) নামের এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার তেরপাখি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি ওই গ্রামের বিকুল হোসেনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, নিজেকে গাবতলীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিপ্তী রানীর পরিচয় দিয়ে নিশ্চিতপুর গ্রামের বিপ্লব দাসের স্ত্রীকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দুই দফায় এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন জরিনা বেগম। পরে নিয়োগপত্র চাইলে তিনমাস পরে দেওয়া হবে বলে জানান।
এক পর্যায়ে বিপ্লব দাসের স্ত্রী রিনা রানী উপজেলা কার্যালয়ে গিয়ে প্রতারিত হয়েছেন বলে বুঝতে পারেন। বিষয়টি জানাজানি হলে তার প্রতারণার আরও অনেক খবর বেরিয়ে আসে।
এর আগেও জরিনা বেগম তেরপাখি গ্রামের আসমা খাতুনের (২০) কাছ থেকে চাকরি দেওয়া কথা বলে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা, একই গ্রামের গোলাপি বেগমের (৪৫) ঘর ও ছাদ নির্মাণের কথা বলে এক লাখ ২৪ হাজার টাকা, পিয়ারা বেগমের (৫০) কাছ থেকে ঘর নির্মাণের কথা বলে ৪০ হাজার টাকা, ধনঞ্জয় গ্রামের পান্না বেগমের কাছ থেকে পাঁচ হাজারসহ চার লাখ ৩৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।
এ ঘটনায় রিনা দাসের স্বামী বিপ্লব দাস বাদী হয়ে সোমবার বিকেলে মামলা করেছেন।
গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, জরিনা বেগম নিজেই ইউএনও সেজে ফোন করেন। নিজেই গিয়ে টাকা আনেন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
পাঠকের মতামত